উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ১৮/১২/২০২৫ ৮:৫৫ পিএম

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার গহীন পাহাড়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, মর্টারের শেল, হ্যান্ড গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী পাহাড় ও বাহাড়ছড়া ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় কয়েকটি স্বশস্ত্র ডাকাত দল অস্থায়ী ঘাঁটি স্থাপন করে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের অপহরণ, হত্যা, গুম, মানবপাচারসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল। এসব ডাকাত দল সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান কার্যক্রমের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে উখিয়া ব্যাটালিয়নের (৬৪ বিজিবি) একটি চৌকস দল অধিনায়কের নেতৃত্বে তিন স্তরের রণকৌশল গ্রহণ করে অভিযান শুরু করে। রাত আনুমানিক ১০টা ৫০ মিনিটে রঙ্গীখালী এলাকার একটি পাহাড়ে ডাকাতদের অবস্থান শনাক্ত করা হলে তারা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ডাকাত দলটি তাদের অস্থায়ী ঘাঁটি ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে বিজিবি টহল দল ডাকাতদের পরিত্যক্ত ঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি জি-৩ রাইফেল, রাইফেলের অংশবিশেষ ও ম্যাগাজিন, চারটি ওয়ান শুটার গান, এলজি শুটার গান, এমএ-১ (ভ্যারিয়েন্ট এমকে-২), একনলা গাদা বন্দুক, তিনটি আর্জেস হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি মর্টারের গোলা, ১৭ কেজি গান পাউডার, হাতবোমা তৈরির উপকরণ, দেশীয় অস্ত্রসহ মোট ৩০২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি ও বিপুল পরিমাণ খালি কার্তুজ উদ্ধার করে।

বিজিবি জানায়, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করেই ডাকাত দলটি দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত করে আসছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে পতাকা উত্তোলনের পর থেকে উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১১৯ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ইয়াবা, গাঁজা, মদ, বিয়ার ও ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ ৮৮ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি আগেও বিভিন্ন সময় আগ্নেয়াস্ত্র, হ্যান্ড গ্রেনেড, মর্টার শেল ও বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পাঠকের মতামত

অন্যের নামে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করা যাবে না, কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন। ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনুমতিহীন টার্ফ নির্মাণ, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সংঘাতের আশঙ্কা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলাকায় অত্রযত্র অনুমোদনবিহীন ফুটবল টার্ফ গড়ে উঠছে। প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ...

উখিয়ায় জাইকা প্রকল্পে পাহাড়ি মাটি দিয়ে সড়ক নির্মাণ!

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র অর্থায়নে পরিচালিত ডিগলিয়া-চাকবৈটা সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে গুরুতর অনিয়মের তথ্য পাওয়া ...